শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন

ধর্ষণ থেকে বাঁচতে ছেলেটিকে ডেকেছিলেন ‘গণপিটুনি’র শিকার তরুণী?

ধর্ষণ থেকে বাঁচতে ছেলেটিকে ডেকেছিলেন ‘গণপিটুনি’র শিকার তরুণী?

স্বদেশ ডেস্ক: ধর্ষণ থেকে বাঁচতে এলাকা দিয়ে পালাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় একটি ছেলেকে দেখে তার সাহায্য পেতে ডাক দেন। এমন দাবি করেছেন ‘গণপিটুনি’র শিকার রোকেয়া বেগম (১৮) নামের ওই রোহিঙ্গা তরুণী। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ছেলেধরা সন্দেহে তাকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করেছেন স্থানীয় লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে বান্দরবান সদর উপজেলার লেমুঝিরি আগাপাড়া এলাকায়।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, বালাঘাটার লেমুঝিরি ও অক্ষ্যংঝিরির মাঝামাঝি পাহাড়ে বিজয় ইসলাম শুভ নামের এক কিশোর গরু চড়াচ্ছিল। এ সময় তিন তরুণ ও আটক তরুণী তাকে ধাওয়া করেন। এতে কিশোরের চিৎকারে এলাকাবাসী ওই তরুণীকে ধরে ফেলেন।

এ ব্যাপারে অক্ষ্যংঝিরির বাসিন্দা বিজয় ইসলাম বলে, সে গরু চরানোর সময় হঠাৎ ওই তরুণী এসে তার সঙ্গে যাওয়ার জন্য ডাকেন। সে যেতে অস্বীকার করলে তরুণী তাকে ধাওয়া করেন। এ সময় আরও তিন তরুণ তাকে ঘেরাও করার চেষ্টা করেন। তখন সে চিৎকার করলে তরুণেরা পালিয়ে যান। আর পালিয়ে যাওয়ার সময় পড়ে গেলে লোকজন তরুণীকে ধরে ফেলেন।

এদিকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোকেয়া বলেন, তিনি ছেলেধরা নন। উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে থাকেন। তিনি বিবাহিত। স্বামীর নাম হামিদ উল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, শরণার্থী শিবির থেকে তার বাবার সঙ্গে চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বের হলে তিন যুবক তাকে ট্যাক্সিতে তুলে সরাসরি বান্দরবানে নিয়ে আসেন। এরপর ওই পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে তারা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় পালানোর চেষ্টা করার সময় পথে ওই কিশোরের সঙ্গে দেখা হয়। তিনি কিশোরের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিশোর ভুল বুঝে চিৎকার দিলে এলাকাবাসী এসে তাকে পিটুনি দেন।

‘গণপিটুনি’র শিকার ওই তরুণী বলেন, যে তিন তরুণ তাকে চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানে নিয়ে আসেন তিনি তাদের নাম জানতে পেরেছেন। তবে তাদের বাড়ি কোথায় তা জানাতে পারেননি। রোকেয়ার ভাষ্য মতে, ওই তিন তরুণের নাম রহমত উল্লাহ, আয়াত উল্লাহ ও জাবেদ।

এ ব্যাপারে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পিটুনিতে ওই রোহিঙ্গা তরুণী সামান্য আহত হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তবে তাকে চট্টগ্রাম থেকে কারা, কীভাবে, কী উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছেন, তা জানার চেষ্টা চলছে।

এ সময় দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ছেলেধরার গুজবে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্যও সবার প্রতি আহ্বান জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877